ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

সুদখোর ইউনূসের যত কুকীর্তি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:০২, ১৮ মার্চ ২০২৪  

ড. মুহাম্মদ ইউনুস

ড. মুহাম্মদ ইউনুস

শান্তিতে নোবেল জয়ী’ ড. ইউনূসের অবিশ্বাস্য অর্থপাচার ও নানা আর্থিক দুর্নীতি এবং অন্যান্য অপরাধের সুনির্দিষ্ট ও বিস্ময়কর তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই অর্থ পাচার ও দুর্নীতি কতটা ভয়াবহ তার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণসহ বিবরণ শুনলে যে কারো চোখ ছানাবড়া হবে। ড. ইউনূস এদেশের মানুষের কাছ থেকে আদায় করা হাজার হাজার কোটি টাকা কিভাবে বিদেশে পাচার করে আসছেন, সেটি সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ না করলে জাতির প্রতি বড় অবিচার করা হবে।এছাড়া তিনি গ্রামীণ ব্যাংক, গ্রামীণ টেলিকমসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কীভাবে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন সেই তথ্য সকলের জানা দরকার।

দেশের আদালতে দায়ের করা বেশ কিছু মামলার রায় নিজের পক্ষে আনার জন্য বিচারক এবং কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ার অপরাধ দালিলিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া ড. ইউনূস পরিচালিত সকল প্রতিষ্ঠানে মধ্যযুগীয় কায়দায় শ্রম অধিকার লঙ্ঘন, কর্মচারীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ তাদের উপরে নানা ধরণের নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহে রয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা, আইনের লঙ্ঘন এবং নানা ধরনের তুঘলকি কাণ্ড।

সামাজিক ব্যবসার নামে তিনি দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন এবং সেই টাকা দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত নামে বিভিন্ন দেশে সম্পদ ক্রয়সহ গড়েছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যার মুনাফা দিয়ে বাংলাদেশবিরোধী কাজে লবিস্টের পিছনে ঢালেন। এসব সত্য প্রকাশ্যে আসায় নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে ধিক্কার জানাচ্ছে দেশবাসী।

এদিকে এখনও মেলেনি তার গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমের ১২ হাজার কোটি টাকার হদিস। প্রতিষ্ঠান দুটির কাছেও নেই এই অর্থ। এই টাকার হদিস খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ‘কোনো মুনাফা নয়, জনসেবাই লক্ষ্য’- এই অঙ্গীকরে হতদরিদ্রদের ভাগ্য বদলাতে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে গ্রামীণ টেলিকম তথা গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নেন ড. ইউনূস। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক অনুমতি পেতেই রূপ বদলে ফেলেন তিনি। এমনকি দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে গ্রামীণফোনের অধিকাংশ শেয়ারই তুলে দেন বিদেশিদের হাতে। ফলে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে নরওয়েজিয়ান কোম্পানি ‘টেলিনর’। মাত্র ৩৪ দশমিক ২০ শতাংশ রাখেন বাংলাদেশ তথা নিজের গ্রামীণ টেলিকমের অধীনে।

সেই সুবাদে প্রতি বছরই গ্রামীণফোন থেকে হাজার কোটি টাকা ডিভিডেন্ড পায় গ্রামীণ টেলিকম; যদিও কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের কোনো ব্যক্তি মালিকানা নেই। তবু ডিভিডেন্ট’র এসব টাকা কয়েক হাত ঘুরিয়ে সামাজিক ব্যবসার নামে বিদেশে পাচার করছেন অধ্যাপক ইউনূস। আর ভারী করছেন নিজের পকেট, যার কিছু প্রমাণ পাওয়া যায় ‘অপরাধ’ ঢাকতে সাম্প্রতিক সময়ে দেশ-বিদেশে ইউনূসের শত শত কোটি টাকা খরচের মাধ্যমে।

তথ্য বলছে, গ্রামীণফোন থেকে ৩৪ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারের লভ্যাংশ আসে গ্রামীণ টেলিকমে। আর এই লভ্যাংশেরই ৪২ দশমিক ৬৫ শতাংশ অর্থ দিয়ে হয় গ্রামীণ কল্যাণকে। এর কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে গ্রামীণ টেলিকম প্রতিষ্ঠার সময় গ্রামীণ কল্যাণের কাছ থেকে ৫৩ কোটি ২৫ লাখ ৬২ হাজার ৯৪১ টাকা ঋণ নেয়া হয়েছিল। অথচ সেই ঋণের বিপরীতে ২০২২ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণকে পাঁচ হাজার কোটিরও বেশি টাকা দিয়েছে গ্রামীণ টেলিকম। এরপরও পরিশোধ হয়নি সোয়া ৫৩ কোটি টাকার সেই ঋণ। এ নিয়ে গ্রামীণ টেলিকমের নিরীক্ষকরা বহুবার আপত্তি তুললেও আমলে নেননি ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এমনকি মোটা অংকের এই টাকা গ্রামীণ কল্যাণ কোন খাতে খরচ করেছে সেই হিসাবও দিতে পারেননি তিনি। এছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের বাকি লভ্যাংশ যা বিদেশিদের দখলে, সেই ৫৭ দশমিক ৩৫ শতাংশের অর্থ নিয়েও রয়েছে লুকোচুরি; যার পরিমাণ সাত হাজার কোটি টাকারও ওপরে।

অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান দুটির মোট ১২ হাজার কোটি টাকা নামে-বেনামে বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এই নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে। আর তাই কোম্পানি আইন অনুযায়ী ড. ইউনূস গুরুতর অপরাধী।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়