ঢাকা, রোববার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‌বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনগণের ওপর অত্যাচার করা : শেখ পরশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ২৬ মার্চ ২০২৪  

‌বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনগণের ওপর অত্যাচার করা : শেখ পরশ

‌বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনগণের ওপর অত্যাচার করা : শেখ পরশ

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে এদেশের দুঃখী-দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষদের আরও বঞ্চিত করেছে। বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যই হচ্ছে এদেশের জনগণের ওপর অত্যাচার করা ও বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা।

গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর পল্লবীতে বাউনিয়াবাঁধ ঈদগা মাঠে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে গরিব ও অসহায় রোজাদারদের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, সভ্যতার ইতিহাসের ভয়ংকর একটা রাত ২৫ মার্চের কালরাত। শুধু ১৯৭১ এর এ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। সেই থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে শুরু হয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর ওই দিনের হত্যাকাণ্ডের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল আমাদের দেশেরই রাজাকারদের দল। নিজের পরিবার, প্রতিবেশী অথবা নিজ দেশের নাগরিকের ওপর পরিকল্পিতভাবে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে মানুষ হিসেবে ওরা সমগ্র জাতিকে কলঙ্কিত করেছে, ছোট করেছে। বাঙালি জাতিকে বিলুপ্ত করে দিতে এই গণহত্যা চালানো হয়েছিল এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কোনো সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়নি। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া স্বীকৃত এবং স্বঘোষিত খুনিদের নাগরিকত্ব, মন্ত্রিত্ব সবই দিয়েছে। আজকে যে দল গণতন্ত্রের জন্য কান্না-কাটি করে তারা নিজেরাইতো হত্যাকারীদেরকে প্রশ্রয় বা সমর্থন দিয়েছে। আর আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা জন্মেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে অনেকে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন, ১৯৭১ সালে যখন রাজাকার, আলবদর, আল-শামস বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা ও অগ্নিসন্ত্রাস করেছে তখন এই সকল গণতন্ত্রকামীদের ভূমিকা কী ছিল? এমনকি ২০০১ সালেও ঐ জামায়াত-বিএনপি সরকার যখন সেই পাকিস্তানী কায়দায় আমাদের সংখ্যালঘু ভোটারদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে তাদেরকে উৎখাত করেছিল, তখনো কী এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারক এবং বাহকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন? বাংলাদেশে প্রায় এক যুগের বেশি সময় যে অগণতান্ত্রিক মিলিটারি শাসকদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছিল, সেই মিলিটারি শাসকদের ছত্রছায়ায় যে দল গঠিত হয়ে রেফেরেন্দামের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে তারা এখন ভোটাধিকারের কথা বলে! ১৫ই আগস্টে যখন নারী-শিশু হত্যা করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল?

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি মজিবুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়